Dhaka ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাহিরপুর সীমান্তে ৩ ঘন্টায় ৩ কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গত ৩ ঘন্টায় প্রায় ৩কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু পাচাঁরকৃত মালামাল আটকের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তাই সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধসহ চোরাকারবারীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৩টা থেকে আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর ও বাঙ্গালভিটা সীমান্তের কচুয়াছড়া এলাকা দিয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী আলা উদ্দিন, তার সহযোগী বীরেন্দ্রনগর এলাকা কালাম মিয়া, নজর আলী, হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়াগং ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁদি দিয়ে প্রায় দেড়কোটি টাকার শাড়ি, কসমেটিকস ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে টাংগুয়ার হাওর দিয়ে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে একই সময়ে লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৫পিলার সংলগ্ন সাহিদবাদ ও দশঘর এলাকা দিয়ে চোরাকাচালান মামলার আসামী জাহাঙ্গীর, নজির ও মোস্তাফা মিয়াগং ২০লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, চিনি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে।

এদিকে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার ১২০৩ পিলার সংলগ্ন আনন্দনগর এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ভুটকুন, বুলবুল মিয়া, নিজাম মিয়া, তোতা মিয়াগং প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ফুছকা, চিনি, জিরা, মদ, গাঁজা ও নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করেছে। একই সময়ে এই সীমান্তের রাজাই, নয়াছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী লাল মিয়া, সাদ্দাম মিয়া, আকরাম, জানু মিয়া ও সাগর মিয়া, কালাম মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন মিয়া, রুসমত, জহির মিয়াগং ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার মূল্যের কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে। এদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা, পুলিশ ফাঁড়ির পিছন দিয়ে, নিলাদ্রী লেক পাড় ও বরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কয়লা ও চুনাপাথরসহ মাদকদ্রব্য চোরাকারবারী আক্কল আলী, কদ্দুস মিয়া, আমীর আলী, রুবেল মিয়াগং পাচাঁর করেছে জানা গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার তাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) নাম্বারের বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাফিজুর রহমান বলেন- কসমেটিকস ও শাড়িসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের বিষয়টি আমার জানা নাই, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব। টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আতিয়ার রহমান বলেন- আমাদের ক্যাম্পের কোন সোর্স নাই। যারা পাচাঁরকৃত কয়লা ও চুনাপাথর থেকে বিজিবির নামে চাঁদা তুলে তাদের সর্তক করে দিয়েছি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

গাইবান্ধায় আমীরে জামায়াতের আগমনে লিফলেট বিতারণ

তাহিরপুর সীমান্তে ৩ ঘন্টায় ৩ কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

Update Time : ১১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গত ৩ ঘন্টায় প্রায় ৩কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু পাচাঁরকৃত মালামাল আটকের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তাই সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধসহ চোরাকারবারীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৩টা থেকে আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর ও বাঙ্গালভিটা সীমান্তের কচুয়াছড়া এলাকা দিয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত চোরাকারবারী আলা উদ্দিন, তার সহযোগী বীরেন্দ্রনগর এলাকা কালাম মিয়া, নজর আলী, হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়াগং ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁদি দিয়ে প্রায় দেড়কোটি টাকার শাড়ি, কসমেটিকস ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে টাংগুয়ার হাওর দিয়ে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে একই সময়ে লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৫পিলার সংলগ্ন সাহিদবাদ ও দশঘর এলাকা দিয়ে চোরাকাচালান মামলার আসামী জাহাঙ্গীর, নজির ও মোস্তাফা মিয়াগং ২০লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, চিনি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে।

এদিকে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলার ১২০৩ পিলার সংলগ্ন আনন্দনগর এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ভুটকুন, বুলবুল মিয়া, নিজাম মিয়া, তোতা মিয়াগং প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ফুছকা, চিনি, জিরা, মদ, গাঁজা ও নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করেছে। একই সময়ে এই সীমান্তের রাজাই, নয়াছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী লাল মিয়া, সাদ্দাম মিয়া, আকরাম, জানু মিয়া ও সাগর মিয়া, কালাম মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন মিয়া, রুসমত, জহির মিয়াগং ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার মূল্যের কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে। এদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা, পুলিশ ফাঁড়ির পিছন দিয়ে, নিলাদ্রী লেক পাড় ও বরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কয়লা ও চুনাপাথরসহ মাদকদ্রব্য চোরাকারবারী আক্কল আলী, কদ্দুস মিয়া, আমীর আলী, রুবেল মিয়াগং পাচাঁর করেছে জানা গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার তাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) নাম্বারের বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাফিজুর রহমান বলেন- কসমেটিকস ও শাড়িসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের বিষয়টি আমার জানা নাই, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব। টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আতিয়ার রহমান বলেন- আমাদের ক্যাম্পের কোন সোর্স নাই। যারা পাচাঁরকৃত কয়লা ও চুনাপাথর থেকে বিজিবির নামে চাঁদা তুলে তাদের সর্তক করে দিয়েছি।