রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পিজি প্রকল্পের নিম্নমানের কাজ করা অভিযোগ উঠেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এই প্রকল্পের উপজেলা শিলমাড়িয়া ও বানেশ^র উইনিয়নের মোট ৬৮টি পিজি সদস্যদের মধ্যে ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্যকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে একটি করে ছাগলের ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ততকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তানভীর আনজুম অনিক সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি তার নিজস্ব লোক দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন। পিজি প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি ঘর টেকসই ও মজবুতের জন্য নির্মাণ কাজে প্লাস্টিকের মাচাসহ সব চারিদিকের প্লাস্টিকের বেড়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্লাস্টিকের মাচার পরিবর্তে বাঁশের মাচা ও চারিদিকে কাঠ ও নিম্নমানের তারের বেড়া ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে একদিকে ঘরগুলি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে প্রকল্পের টাকা খরচ না করে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে উক্ত প্রকল্পের একধিক সদস্যগণেরা অভিযোগ করেছেন। বানেশ্বর দিঘলকান্দি ছাগল পিজির সভাপতি মিনা বেগম জানান, ঘর নির্মাণের বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকাই সব সদস্যরা অফিসের লোকের হাতে তুলে দেয়। স্যারেরা মিস্ত্রী ঠিক করে দিয়েছেন তারা এই ঘরগুলি তৈরি করেছে। এই ঘর তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাঁকি টাকা কি হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এ বিষয়ে স্যারেরা ভালো বলতে পারবেন। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ সব বিষয়ে বলতে গেলে সরকারি সুযোগ সুবিধা যতটুকু পাই তাও পাবনা তাই অফিস যে ভাবে বলে সে ভাবে আমাদের কাজ করতে হয়। ততকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তানভীর আনজুম অনিক জানান, গত অর্থ বছরের প্রকল্প এতো দিন পরে কেন অভিযোগ। ঘর তৈরির প্লাস্টিকের পরিবর্তে বাঁসে মাচা ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। অনেক দিন হলো যদি বাঁশের মাচা তৈরি করে থাকে তাহলে এখন তারা সংস্কার করে নিবে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রোকনুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্পের ছয় থেকে সাত মাস পর আমি এখানে যোগদান করেছি। পিজি প্রকল্পের ছাগলের ঘর নির্মাণ নিয়ে যে অভিযোগ প্লাস্টিকে পরিবর্তে বাঁশেস মাচা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমি নিজ দায়িত্ব্ধেসঢ়; যাব যদি কোন অনিয়ম করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব বলে এ কর্মকর্তা জানান।