Dhaka ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিআইপি হলেন ওমান প্রবাসী জয়পুরহাটের ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম

বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি’র (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পেলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের কৃতি সন্তান ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর)  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে এনআরবি ২০২৫-পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও সিআইপি কার্ড  তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এনআরবি)’ নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী   সিআইপি (এনআরবি)

নির্বাচন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।  আমিনুর ইসলাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের মো. আজিজার রহমানের ছোট ছেলে।

২০০৮ সালে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে  একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে ২০১২ সালে ওমানে পাড়ি জমান এবং দীর্ঘ ১ যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে রিয়েল স্টেটের (ভবন নির্মাণ) ব্যবসা করে আসছেন। বিদেশ গিয়ে তিনি শুধু নিজেরই ভগ্যোন্নয়ন করেছেন তা নয় বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে নিজ এলাকার প্রায় অর্ধশত গরিব ও বেকার যুবককে ওমানে নিয়ে নিজের কনস্ট্রাকশন ফার্মে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার বদৌলতে গণিপুর এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলাতে শুরু করেছে।

আমিনুর ইসলাম জানান, তার ফার্মে বর্তমানে দেশ-বিদেশের তিন শতাধিক ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামের অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারগুলো যেন সচ্ছলতার মুখ দেখেন সেজন্য তিনি আরো অধিক লোককে  বিদেশে নিয়ে গিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এনে দেশের উন্নয়ন করতে চান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

নওগাঁয় ৯ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের এসপি অফিস ঘেরাও

সিআইপি হলেন ওমান প্রবাসী জয়পুরহাটের ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম

Update Time : ০৯:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি’র (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পেলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের কৃতি সন্তান ওমান প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলাম।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর)  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে এনআরবি ২০২৫-পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও সিআইপি কার্ড  তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এনআরবি)’ নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী   সিআইপি (এনআরবি)

নির্বাচন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।  আমিনুর ইসলাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের মো. আজিজার রহমানের ছোট ছেলে।

২০০৮ সালে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে  একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে ২০১২ সালে ওমানে পাড়ি জমান এবং দীর্ঘ ১ যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে রিয়েল স্টেটের (ভবন নির্মাণ) ব্যবসা করে আসছেন। বিদেশ গিয়ে তিনি শুধু নিজেরই ভগ্যোন্নয়ন করেছেন তা নয় বিনা খরচে বা নামমাত্র খরচে নিজ এলাকার প্রায় অর্ধশত গরিব ও বেকার যুবককে ওমানে নিয়ে নিজের কনস্ট্রাকশন ফার্মে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তার বদৌলতে গণিপুর এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলাতে শুরু করেছে।

আমিনুর ইসলাম জানান, তার ফার্মে বর্তমানে দেশ-বিদেশের তিন শতাধিক ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামের অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারগুলো যেন সচ্ছলতার মুখ দেখেন সেজন্য তিনি আরো অধিক লোককে  বিদেশে নিয়ে গিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এনে দেশের উন্নয়ন করতে চান।