Dhaka ০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্যাবসায়ীকে চোরাকারকারী মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামের রৌমারী ভারতীয় গরু সন্দেহে ব্যাবসায়ীর গরু আটক করার অভিযোগে ব্যাবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানাযায় বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের করম আলীর পুত্র বাদল (৩২) একজন গরু ব্যাবসায়ী বিভিন্ন গ্রাম হতে ক্রয়কৃত গরু কত্তির্মারী হাটে নেয়ার সময় হাট থেকে ৫০০ গজ দুরে কাশিয়াবাড়ি নামক স্থান হতে রৌমারী থানা পুলিশ আমার ব্যাবসায়ীক ৮টি গরু আটক করে রৌমারী থানায় নিয়ে যায়। পরে রৌমারী থানায় ১ জনকে গরুসহ আটকের পর চোরাচালান মামলা দিয়ে আরও কয়েকজনকে অঞ্জাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এমন হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী। সকাল ১১ টার দিকে সায়দাবাদ বাজার নামক এক স্থানে এ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী বাদল মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা ৪/৫ জন মিলে শেয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাম ও হাট বাজার থেকে গরু ক্রয় করে কয়েকদিন লালন পালনে হাট বাজারে বিক্রয় করে আসছি। ঘটনার দিন ২৪ জুলাই বিকাল ৩ টার দিকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্রয় করা ৮টি মাঝাড়ি ষাড় গরু বাড়ি থেকে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে কর্ত্তিমারী হাট বাজারে নেয়ার পথে কর্ত্তিমারীর কাশিয়াবাড়ি চৌরাস্তার মোড়ে ওৎপেতে থাকা এস আই জুলেল, এসআই সাহাদত হোসেন খান ও এএসআই জয়নুল আবেদীনসহ একদল পুলিশ গরুসহ আমাদেরকে পথ রোধ করে। পরে গরু গুলি ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হতে চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ পথে আনা হয়েছে বলে জোর পুর্বক গরু ও আমাকে আটক করা হয় এবং রৌমারী থানায় নিয়ে এসে মামলা দিয়ে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ মামলায় জড়িত করে আমার বড় ভাই বাবলু মিয়া (৩৮) ও মোন্নাফ মিয়া (৪৫)সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে।

উল্লেখ্য যে, পুলিশের আরজিতে বলা হয়েছে যে, বকবান্দা নামা পাড়া গ্রামের করম আলীর পুত্র বাদল মিয়া (৩২) ও পলাতক আসামী বাবলু মিয়া (৩৮) ও ঝাউবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে মোন্নাফ মিয়া (৪৫)সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে উল্লেখ করা হয় ২৪ জুলাই বেলা আড়াই টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হইতে চোরাকারবারিরা চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ পথে যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি চৌরাস্তা মোড়ে বেলাল হোসেনের দোকানের সামন থেকে গরুসহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে বাবলু মিয়া, মোন্নাফ মিয়াসহ ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮টি মাঝাড়ি ষাড় গরু যাহার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগী বলেন, আমরা শেয়ার ব্যবসায়ীগণ গ্রামের ও বিভিন্ন হাট বাজার ছাড়া কোন দিন সীমান্ত এলাকা চোরাচালানে যাই না। আমাদের কষ্টের অর্থে ক্রয় করা ৮ টি মাঝাড়ি ষাড় গরু আটক করে অর্থে ক্ষয়ক্ষতি করা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা গরিব অসহায় মানুষ। হয়রানি থেকে রক্ষা ও গরু আটক করা আনুমানিক সোয়া ৩ লাখ টাকা উদ্ধারে সরকারের নিকট দাবী জানায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্যাবসায়ীকে চোরাকারকারী মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৩:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামের রৌমারী ভারতীয় গরু সন্দেহে ব্যাবসায়ীর গরু আটক করার অভিযোগে ব্যাবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানাযায় বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের করম আলীর পুত্র বাদল (৩২) একজন গরু ব্যাবসায়ী বিভিন্ন গ্রাম হতে ক্রয়কৃত গরু কত্তির্মারী হাটে নেয়ার সময় হাট থেকে ৫০০ গজ দুরে কাশিয়াবাড়ি নামক স্থান হতে রৌমারী থানা পুলিশ আমার ব্যাবসায়ীক ৮টি গরু আটক করে রৌমারী থানায় নিয়ে যায়। পরে রৌমারী থানায় ১ জনকে গরুসহ আটকের পর চোরাচালান মামলা দিয়ে আরও কয়েকজনকে অঞ্জাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এমন হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী। সকাল ১১ টার দিকে সায়দাবাদ বাজার নামক এক স্থানে এ সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী বাদল মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা ৪/৫ জন মিলে শেয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাম ও হাট বাজার থেকে গরু ক্রয় করে কয়েকদিন লালন পালনে হাট বাজারে বিক্রয় করে আসছি। ঘটনার দিন ২৪ জুলাই বিকাল ৩ টার দিকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্রয় করা ৮টি মাঝাড়ি ষাড় গরু বাড়ি থেকে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে কর্ত্তিমারী হাট বাজারে নেয়ার পথে কর্ত্তিমারীর কাশিয়াবাড়ি চৌরাস্তার মোড়ে ওৎপেতে থাকা এস আই জুলেল, এসআই সাহাদত হোসেন খান ও এএসআই জয়নুল আবেদীনসহ একদল পুলিশ গরুসহ আমাদেরকে পথ রোধ করে। পরে গরু গুলি ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হতে চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ পথে আনা হয়েছে বলে জোর পুর্বক গরু ও আমাকে আটক করা হয় এবং রৌমারী থানায় নিয়ে এসে মামলা দিয়ে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ মামলায় জড়িত করে আমার বড় ভাই বাবলু মিয়া (৩৮) ও মোন্নাফ মিয়া (৪৫)সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনকে।

উল্লেখ্য যে, পুলিশের আরজিতে বলা হয়েছে যে, বকবান্দা নামা পাড়া গ্রামের করম আলীর পুত্র বাদল মিয়া (৩২) ও পলাতক আসামী বাবলু মিয়া (৩৮) ও ঝাউবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে মোন্নাফ মিয়া (৪৫)সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে উল্লেখ করা হয় ২৪ জুলাই বেলা আড়াই টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা হইতে চোরাকারবারিরা চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ পথে যাদুরচর ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ি চৌরাস্তা মোড়ে বেলাল হোসেনের দোকানের সামন থেকে গরুসহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে বাবলু মিয়া, মোন্নাফ মিয়াসহ ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮টি মাঝাড়ি ষাড় গরু যাহার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

ভুক্তভোগী বলেন, আমরা শেয়ার ব্যবসায়ীগণ গ্রামের ও বিভিন্ন হাট বাজার ছাড়া কোন দিন সীমান্ত এলাকা চোরাচালানে যাই না। আমাদের কষ্টের অর্থে ক্রয় করা ৮ টি মাঝাড়ি ষাড় গরু আটক করে অর্থে ক্ষয়ক্ষতি করা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা গরিব অসহায় মানুষ। হয়রানি থেকে রক্ষা ও গরু আটক করা আনুমানিক সোয়া ৩ লাখ টাকা উদ্ধারে সরকারের নিকট দাবী জানায়।