Dhaka ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পত্নীতলায় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত

পত্নীতলায় ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা সুজনের সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক বরণ রায়। তিনি বলেন “সমাজের বিকাশমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই। মানুষের দলবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে সমাজের সৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় মানবসমাজের সৃষ্টি। মানুষ মূলত দলবদ্ধ হয় সম্প্রীতির মাধ্যমে। মানুষ যখন দলবদ্ধ হয়েছে তখন তারা সৃষ্টি করেছে নতুন দিগন্ত। একটি জাতির সামগ্রিক মঙ্গল এবং অগ্রগতির জন্য সম্প্রীতি অপরিহার্য। সম্প্রীতি বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির সম্পর্ক সৃষ্টি করে। সমাজে প্রতিটি মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে। মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত হয়। সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা এবং কল্যাণ সুনিশ্চিত হয়। ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট যৌথভাবে পত্নীতলা উপজেলা তথা নওগাঁয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রীতি সংলাপ পত্নীতলা সহ অত্র অঞ্চলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, নওগাঁর সমন্বয়কারী শাহরিয়ার শাকিল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের এম্বাসেডর ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান দুলাল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম সেফা, সাধারণ সম্পাদক নাদিরা বেগম, বিএনপি নেত্রী মাজেদা বেগম, সেলিনা বেগম, বেলী খাতুন, মৌসুমী সুলতানা, জাতীয় পার্টি পত্নীতলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, উপজেলা সুজনের সাঃসম্পাদক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন, শিক্ষক সুলতান আহমেদ, স্বদেশ কুমার মন্ডল, আদিবাসি নেতা সুধীর তির্কী, পরেশ টুডু, ধামুরহাট উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সমন্বয়কারী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাবু, মহাদেবপুর উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটের গ্রুপের সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন, ভোরের ডাক ব্যায়াম সংগঠনের প্রধান প্রিন্সিপাল বিমল কুমার বর্মন, সরস্বতীপুর লুথারের মিশন চার্চ এর রেফারেন্ট পাষ্টর মিলন বর্মন, সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন, মাওলানা খয়বুর আলী, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর ফ্যাসিলিটেটর রাকিবুল হাসান, আব্দুর রহিম, রাফি, সৈকত হোসেন, নূর আসিফ তানভীর, মাহবুবা পারভীন প্রমুখ।

সম্প্রীতি সংলাপে পত্নীতলা, ধামুরহাট, সাপাহার মহাদেবপুর উপজেলার ইয়ুথ লিডার, আন্তঃধর্মীয় ফোরাম সদস্য, পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সদস্যবৃন্দ, নারী নেত্রীবৃন্দ, সুশাসনের জন্য নাগরিক সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, আদিবাসী নেতা, পুষ্টি উজ্জীবক, শিক্ষকবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণগবেষক এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রীতির নওগাঁ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভিন্ন পরিচয় মানুষ ও তাদের সংস্কৃতিকে জানা, অন্যের বিশ্বাস আচরণ, সংস্কৃতি, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি, মতবিনিময়, সাংস্কৃতিক লেনদেন, সম্মিলিত উৎসব আয়োজন ও অংশগ্রহণ, ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধার চর্চা, বিবেক ও যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ মতবাদ প্রকাশ, মানুষদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ, প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক আলোচনায় সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবেন বলে ঘোষণা দেন। পত্নীতলায় ইউকে এইডের সহায়তায় ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইয়ুথ লিডারাশিপ ট্রেনিং, সামাজিক সম্প্রীতি কর্মশালা, ক্যাম্পেইন, সংলাপ, সিএসও করবো কর্মশালা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

পত্নীতলায় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৬:০২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

পত্নীতলায় ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পত্নীতলা প্রেসক্লাব ও উপজেলা সুজনের সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক বরণ রায়। তিনি বলেন “সমাজের বিকাশমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই। মানুষের দলবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে সমাজের সৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় মানবসমাজের সৃষ্টি। মানুষ মূলত দলবদ্ধ হয় সম্প্রীতির মাধ্যমে। মানুষ যখন দলবদ্ধ হয়েছে তখন তারা সৃষ্টি করেছে নতুন দিগন্ত। একটি জাতির সামগ্রিক মঙ্গল এবং অগ্রগতির জন্য সম্প্রীতি অপরিহার্য। সম্প্রীতি বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির সম্পর্ক সৃষ্টি করে। সমাজে প্রতিটি মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে। মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত হয়। সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা এবং কল্যাণ সুনিশ্চিত হয়। ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট যৌথভাবে পত্নীতলা উপজেলা তথা নওগাঁয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রীতি সংলাপ পত্নীতলা সহ অত্র অঞ্চলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, নওগাঁর সমন্বয়কারী শাহরিয়ার শাকিল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের এম্বাসেডর ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান দুলাল, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম সেফা, সাধারণ সম্পাদক নাদিরা বেগম, বিএনপি নেত্রী মাজেদা বেগম, সেলিনা বেগম, বেলী খাতুন, মৌসুমী সুলতানা, জাতীয় পার্টি পত্নীতলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, উপজেলা সুজনের সাঃসম্পাদক আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন, শিক্ষক সুলতান আহমেদ, স্বদেশ কুমার মন্ডল, আদিবাসি নেতা সুধীর তির্কী, পরেশ টুডু, ধামুরহাট উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সমন্বয়কারী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাবু, মহাদেবপুর উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটের গ্রুপের সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন, ভোরের ডাক ব্যায়াম সংগঠনের প্রধান প্রিন্সিপাল বিমল কুমার বর্মন, সরস্বতীপুর লুথারের মিশন চার্চ এর রেফারেন্ট পাষ্টর মিলন বর্মন, সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন, মাওলানা খয়বুর আলী, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর ফ্যাসিলিটেটর রাকিবুল হাসান, আব্দুর রহিম, রাফি, সৈকত হোসেন, নূর আসিফ তানভীর, মাহবুবা পারভীন প্রমুখ।

সম্প্রীতি সংলাপে পত্নীতলা, ধামুরহাট, সাপাহার মহাদেবপুর উপজেলার ইয়ুথ লিডার, আন্তঃধর্মীয় ফোরাম সদস্য, পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের সদস্যবৃন্দ, নারী নেত্রীবৃন্দ, সুশাসনের জন্য নাগরিক সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, আদিবাসী নেতা, পুষ্টি উজ্জীবক, শিক্ষকবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণগবেষক এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রীতির নওগাঁ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভিন্ন পরিচয় মানুষ ও তাদের সংস্কৃতিকে জানা, অন্যের বিশ্বাস আচরণ, সংস্কৃতি, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি, মতবিনিময়, সাংস্কৃতিক লেনদেন, সম্মিলিত উৎসব আয়োজন ও অংশগ্রহণ, ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধার চর্চা, বিবেক ও যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ মতবাদ প্রকাশ, মানুষদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ, প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক আলোচনায় সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করবেন বলে ঘোষণা দেন। পত্নীতলায় ইউকে এইডের সহায়তায় ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইয়ুথ লিডারাশিপ ট্রেনিং, সামাজিক সম্প্রীতি কর্মশালা, ক্যাম্পেইন, সংলাপ, সিএসও করবো কর্মশালা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।