Dhaka ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

oppo_34

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে অকেজো ঘোষিত লোহা বিক্রির ১৯ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২শত টাকা। এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানেনা বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনি থেকে লোহা বিক্রয়ের বিষয়টি। বড়পুকুরিা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন আগে অকেজো ঘোষিত লৌহ, রাবার, তামা, খুচরা যন্ত্রাংশ ও রাইট-অফকৃত স্ক্যাপ মালামাল নিলাম প্রদান করেন। সেই মালামালগুলি খনির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় যেখানে যে অবস্থায় পড়ে আছে নিলামে বিক্রয়ের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সেনা কল্যাণ সংস্থা এসকেএস টাওয়ার (১০ম তলা ঢাকা) ভিআইপি রোড, মহাখালী-১২০৬ পেয়ে থাকেন। উক্ত সংস্থা আয়কর ও ভ্যাট সহ সমুদয় অর্থ ২২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ২১০ টাকার মালামালের মূল্য ১৯ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২শত টাকা ও অন্যান্য সহ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১৫ মে ২০২৪ খ্রি. তারিখে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর অনুকুলে সোনালী ব্যাংক, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হিসাব নম্বরে জমা প্রদান করেন। এ বিষয়ে কোম্পানীর হিসাব খাতওয়ারী অন্তভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম মুহম্মদ বদরুল আলম।

এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লি. ও মহা-ব্যবস্থাপক সারফেস অপারেশন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিভাগ কে অবগত করেন।

এ দিকে গতকাল রবিবার সকাল থেকে কয়লা খনি এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খনির মালামাল বাহির হওয়া নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অপরদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলা সরকারের সাথে এ বিষয় নিয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন গ্রহণ করেননি। বিষয়টি নিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক ও প্রশাসন এর মোঃ আলতাফ হোসেনের নিকট অভিযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন ফোন গ্রহণ করবেন না বিষয়টি আমি দেখছি। খনির মালামাল বিক্রয় বিষয়ে কথা বললে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপ-মহা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম মোঃ বদরুল আলম জানান, সকালে আমরা খনির মালামাল বিক্রয়ের উদ্বোধন করি। খনির বাহিরে ব্যবসায়ীরা বৈঠক করছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। উচ্চ আদালতে মামলা থাকলেও অনেকে মামলা তুলে নেন। আবার অনেকে এখনও সুপ্রিম কোট থেকে মামলা তুলে নাই। ২৫ বছর পর খনির পরিত্যক্ত অকেজো মালামাল বিক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই মালামালগুলি অবশেষে সেনা কল্যাণ সংস্থা টেন্ডারের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরিত্যক্ত লোহা বিক্রি

Update Time : ০৭:৩১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভিতরে অকেজো ঘোষিত লোহা বিক্রির ১৯ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২শত টাকা। এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানেনা বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনি থেকে লোহা বিক্রয়ের বিষয়টি। বড়পুকুরিা কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন আগে অকেজো ঘোষিত লৌহ, রাবার, তামা, খুচরা যন্ত্রাংশ ও রাইট-অফকৃত স্ক্যাপ মালামাল নিলাম প্রদান করেন। সেই মালামালগুলি খনির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় যেখানে যে অবস্থায় পড়ে আছে নিলামে বিক্রয়ের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সেনা কল্যাণ সংস্থা এসকেএস টাওয়ার (১০ম তলা ঢাকা) ভিআইপি রোড, মহাখালী-১২০৬ পেয়ে থাকেন। উক্ত সংস্থা আয়কর ও ভ্যাট সহ সমুদয় অর্থ ২২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ২১০ টাকার মালামালের মূল্য ১৯ কোটি ৩৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২শত টাকা ও অন্যান্য সহ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১৫ মে ২০২৪ খ্রি. তারিখে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিঃ এর অনুকুলে সোনালী ব্যাংক, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হিসাব নম্বরে জমা প্রদান করেন। এ বিষয়ে কোম্পানীর হিসাব খাতওয়ারী অন্তভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম মুহম্মদ বদরুল আলম।

এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লি. ও মহা-ব্যবস্থাপক সারফেস অপারেশন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বিভাগ কে অবগত করেন।

এ দিকে গতকাল রবিবার সকাল থেকে কয়লা খনি এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খনির মালামাল বাহির হওয়া নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অপরদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলা সরকারের সাথে এ বিষয় নিয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন গ্রহণ করেননি। বিষয়টি নিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক ও প্রশাসন এর মোঃ আলতাফ হোসেনের নিকট অভিযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেন ফোন গ্রহণ করবেন না বিষয়টি আমি দেখছি। খনির মালামাল বিক্রয় বিষয়ে কথা বললে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপ-মহা ব্যবস্থাপক আবুল কালাম মোঃ বদরুল আলম জানান, সকালে আমরা খনির মালামাল বিক্রয়ের উদ্বোধন করি। খনির বাহিরে ব্যবসায়ীরা বৈঠক করছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। উচ্চ আদালতে মামলা থাকলেও অনেকে মামলা তুলে নেন। আবার অনেকে এখনও সুপ্রিম কোট থেকে মামলা তুলে নাই। ২৫ বছর পর খনির পরিত্যক্ত অকেজো মালামাল বিক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই মালামালগুলি অবশেষে সেনা কল্যাণ সংস্থা টেন্ডারের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।