Dhaka ১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দাবী যাত্রী কল্যাণ সমিতির

১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত, ১,৪৯,৮৪৭ আহত

সড়ক সেক্টরে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, চরম অব্যবস্থাপনা, চাদাঁবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ বছরে দেশে ৬০,৯৮০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত ১,৪৯,৮৪৭ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে গণপরিবহন সংকটে মোটরসাইকেলে যাতায়াতের কারণে ২০,১২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭,৫৫৩ জন নিহত ৪৬,১৬৭ জন আহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ৩৯.৬৫ শতাংশ। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২,৫৫,১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫,৮৮৪ জনের পরিচয় মিলেছে।

যার মধ্যে ১৪,৯২৮ জন চালক, ১৭,১৫০ জন পথচারী, ৭,৩৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮,৮০১ জন শিক্ষার্থী, ১,৫৯৩ জন শিক্ষক, ৫১৪ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১২,১০৯ জন নারী, ৮,০৬৭ জন শিশু, ৫৫৯ জন সাংবাদিক, ৪৩০ জন চিকিৎসক, ২৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫৫ জন শিল্পী, ৩৬১ জন আইনজীবী ও ৩৩০ জন প্রকৌশলী এবং ৩,৪১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে।

আজ ২১ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে “সড়ক সেক্টরে সীমাহীন অব্যবস্থাপনা : দায়িত্ব নেবে কে ?! শীর্ষক আলোচনা সভায় বিগত সরকারের ১১ বছরের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের ইতিহাসে সড়ক মন্ত্রণালয়ের একযুগেরও বেশি সময়ের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়কে চাদাঁবাজি, মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে চরমভাবে ব্যর্থতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন পরেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’তে ওবায়দুল কাদেরের প্রেতাত্মারা পদে পদে বসে আছে। এখনো তারা সড়কে গণহত্যা বন্ধে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সড়কের চাঁদাবাজরা পালিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম কমেছে কিন্তু পরিবহন ভাড়া কমছে না। পণ্যমূল্য কমছে না। সড়ক মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ’সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাবেক সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরেরর আশীর্বাদপুষ্ট কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ’কে পকেটে নিয়ে ঘুরেন। এখানো সেই ধারা অব্যহত রয়েছে। তারা বিগত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ যানজট ও বিশৃঙ্খলা থামাতে না পারলে বর্তমান সরকারকে ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে। এমন হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, পরিবহন খাত জঞ্জালমুক্ত করতে হলে এইখাতের আপদমস্তক সংস্কার প্রয়োজন। তাই অন্যান্য জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ খাতের মত পরিবহন খাত সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি।

সংগঠনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিগত ২০১৪ সাল থেকে চলতি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০,৯৮০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত ১,৪৯,৮৪৭ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে সংগঠিত দুর্ঘটনার সিংহভাগই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না বলে দাবি করে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলে ধারণা সংগঠনটির।

২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮৮,১২৭ টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার ২০,৫৪৯ টি ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ডভ্যান, ২০,১২৪ টি মোটরসাইকেল, ১৫,৩০১ টি বাস, ৮,২১৫ টি নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৯০৪৪ টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯,৩১২ টি ব্যাটারিচালিত রিক্সা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৫,৫৮২ টি কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১.৭৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৭.৫৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২২.৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।

বছরভিত্তিক যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই প্রতিবেদনগুলো নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের জেল-জুলুম, মামলা-হামলাসহ নানামুখী হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। কখনো কখনো যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধের জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বন্ধে তৎকালীন সড়ক মন্ত্রীর রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কার্যকর অর্থে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে আলোচনা সভায় উঠে আসে।

এ সময়ে আরো বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণপরিবহন বিশ্লেষক আবদুল হক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

দাবী যাত্রী কল্যাণ সমিতির

১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত, ১,৪৯,৮৪৭ আহত

Update Time : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সড়ক সেক্টরে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, চরম অব্যবস্থাপনা, চাদাঁবাজি ও নৈরাজ্যের কারণে বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ বছরে দেশে ৬০,৯৮০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত ১,৪৯,৮৪৭ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে গণপরিবহন সংকটে মোটরসাইকেলে যাতায়াতের কারণে ২০,১২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৭,৫৫৩ জন নিহত ৪৬,১৬৭ জন আহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ৩৯.৬৫ শতাংশ। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ২,৫৫,১৮৫ জনের মধ্যে ৭৫,৮৮৪ জনের পরিচয় মিলেছে।

যার মধ্যে ১৪,৯২৮ জন চালক, ১৭,১৫০ জন পথচারী, ৭,৩৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮,৮০১ জন শিক্ষার্থী, ১,৫৯৩ জন শিক্ষক, ৫১৪ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১২,১০৯ জন নারী, ৮,০৬৭ জন শিশু, ৫৫৯ জন সাংবাদিক, ৪৩০ জন চিকিৎসক, ২৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৫৫ জন শিল্পী, ৩৬১ জন আইনজীবী ও ৩৩০ জন প্রকৌশলী এবং ৩,৪১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে।

আজ ২১ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে “সড়ক সেক্টরে সীমাহীন অব্যবস্থাপনা : দায়িত্ব নেবে কে ?! শীর্ষক আলোচনা সভায় বিগত সরকারের ১১ বছরের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের ইতিহাসে সড়ক মন্ত্রণালয়ের একযুগেরও বেশি সময়ের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়কে চাদাঁবাজি, মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে চরমভাবে ব্যর্থতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন পরেও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’তে ওবায়দুল কাদেরের প্রেতাত্মারা পদে পদে বসে আছে। এখনো তারা সড়কে গণহত্যা বন্ধে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমানো, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সড়কের চাঁদাবাজরা পালিয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম কমেছে কিন্তু পরিবহন ভাড়া কমছে না। পণ্যমূল্য কমছে না। সড়ক মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ’সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাবেক সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরেরর আশীর্বাদপুষ্ট কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ’কে পকেটে নিয়ে ঘুরেন। এখানো সেই ধারা অব্যহত রয়েছে। তারা বিগত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ যানজট ও বিশৃঙ্খলা থামাতে না পারলে বর্তমান সরকারকে ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে। এমন হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, পরিবহন খাত জঞ্জালমুক্ত করতে হলে এইখাতের আপদমস্তক সংস্কার প্রয়োজন। তাই অন্যান্য জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ খাতের মত পরিবহন খাত সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানান তিনি।

সংগঠনের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিগত ২০১৪ সাল থেকে চলতি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০,৯৮০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১,০৫,৩৩৮ জন নিহত ১,৪৯,৮৪৭ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে সংগঠিত দুর্ঘটনার সিংহভাগই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না বলে দাবি করে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে বলে ধারণা সংগঠনটির।

২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮৮,১২৭ টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার ২০,৫৪৯ টি ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ডভ্যান, ২০,১২৪ টি মোটরসাইকেল, ১৫,৩০১ টি বাস, ৮,২১৫ টি নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৯০৪৪ টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৯,৩১২ টি ব্যাটারিচালিত রিক্সা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৫,৫৮২ টি কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১.৭৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৭.৫৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২২.৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।

বছরভিত্তিক যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই প্রতিবেদনগুলো নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের জেল-জুলুম, মামলা-হামলাসহ নানামুখী হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। কখনো কখনো যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধের জন্য নানাভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বন্ধে তৎকালীন সড়ক মন্ত্রীর রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কার্যকর অর্থে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে আলোচনা সভায় উঠে আসে।

এ সময়ে আরো বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণপরিবহন বিশ্লেষক আবদুল হক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।