পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশির নামে প্রতারনার মাধ্যমে মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে বেনাপোল কাস্টমস সুপারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার দোলারা খানের ছেলে জবেদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেন জমা দেয়ার নির্দেষ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনী। এ মামলার আসামিরা হলো বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সুপার জাহাঙ্গীর, সিপাহী সাবরিনা ও সিপাহী পলক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জবেদ হোসেন চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বৈধ ভাবে ভারতে যান। ১৪ অক্টোবর কাজ শেষে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সকাল পোনে ৮টার দিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে পৌঁছান। কাস্টমসে মালামাল চেকিং-এর জন্য তিনি দুইটি কম্বল ও একটি ব্যাগ দেন।
ব্যাগের ভিতর বাংলাদেশি ৭ হাজার টাকা, পাসপোর্ট, পরিধেয় জামা-কাপড়, কসমেটিক ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত জবেদ হোসেন কাস্টমস হাউজে বসে থাকেন তার মালামাল ফেরত নেয়ার উদ্দেশ্যে। এক পর্য্যায়ে দুইটি কম্বলের সিলিপ ধরিয়ে ব্যাগের বিষয়টি আমলে নেননি তারা। ১৫ ও ১৬ অক্টোবর জবেদ হোসেন কাস্টমস হাউজে যেয়ে আসামিদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাগ ফেরত চাইলে আসামিরা উল্টো মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। মালামালসহ ব্যাগ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।